তৃতীয় অধ্যায়: উপযোগ, চাহিদা, যোগান ও ভারসাম্য
উপযোগ: উপযোগ একটি মানসিক ধারণা।
অর্থনীতিতে উপযোগ বলতে কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে বোঝানো হয়।
ভোগ: অর্থনীতিতে মানুষের অভাব
পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগ নিঃশেষ করাকে ভোগ বলা হয়।
ভোক্তা: কোনো অবাধ সহজলভ্য দ্রব্য
ছাড়া অন্য সব দ্রব্য ভোগ করার জন্য যে ব্যক্তি অর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত থাকে তাকে
ভোক্তা বলা হয়।
মোট
উপযোগ:
কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি দ্রব্যের বিভিন্ন একক থেকে প্রাপ্ত তৃপ্তির সমষ্টিকে মোট
উপযোগ বলে।
প্রান্তিক
উপযোগ:
অতিরিক্ত এক একক দ্রব্য বা সেবা ভোগ করে যে অতিরিক্ত উপযোগ বা তৃপ্তি পাওয়া যায়
তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলে।
ক্রমহ্রাসমান
প্রান্তিক উপযোগ বিধি:
ভোগের একক বৃদ্ধির ফলে প্রান্তিক উপযোগ কমে যাওয়ার প্রবণতাকে ক্রমহ্রাসমান
প্রান্তিক উপযোগ বিধি বলে। ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধির শর্ত হলো ভোক্তা
হবে স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন; ভোক্তা
চাইলে দ্রব্যের উপযোগ অর্থ দিয়ে পরিমাপ করতে পারে; দ্রব্যের দাম প্রান্তিক উপযোগের সমান হবে; দ্রব্যটি ভোগ করার সময় ভোক্তার
আয়, রুচি এবং পছন্দের
পরিবর্তন হবে না; নির্দিষ্ট
সময় বিবেচ্য।
চাহিদা: সুতরাং ক্রেতার একটি পণ্য
নির্দিষ্ট সময়ে কেনার আকাক্সক্ষা, সামর্থ্য
এবং নির্দিষ্ট মূল্যে দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তাকে অর্থনীতিতে চাহিদা
(উবসধহফ) বলে।
চাহিদাবিধি: চাহিদার সাথে দামের একটি
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
চাহিদা
বিধি বা সূত্র অনুসারে “অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে
পণ্যের দাম কমলে তার চাহিদার পরিমাণ বাড়ে এবং দাম বাড়লে চাহিদার পরিমাণ কমে।”
যোগান: অর্থনীতিতে যোগান বলতে একজন
বিক্রেতা কোনো একটি দ্রব্যের যে পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং একটি নির্দিষ্ট
দামে বিক্রয় করতে ইচ্ছুক ও সমর্থ থাকে তাকে যোগান বলে। অতএব, বিক্রেতা বিভিন্ন দামে
দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তাকেই অর্থনীতিতে যোগান (ঝঁঢ়ঢ়ষু) বলে।
যোগান
বিধি:
দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ বাড়ে এবং দাম কমার সাথে
সাথে দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ কমে যায়। অতএব দাম ও যোগানের সম্পর্ক সমমুখী। দাম
যেদিকে পরিবর্তিত হয় যোগানও সেদিকে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ অন্যান্য অবস্থা
অপরিবর্তিত থেকে দাম বৃদ্ধি পেলে যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং দাম হ্রাস পেলে
যোগানের পরিমাণ হ্রাস পায়।
ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ: বাজারের একটি সাধারণ দৃশ্য হলো ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দ্রব্যের দাম নিয়ে দর কষাকষি করা। ক্রেতা চেষ্টা করে সর্বনিম্ন দামে দ্রব্যটি ক্রয় করতে। আবার, বিক্রেতা চেষ্টা করে সর্বোচ্চ দামে দ্রব্য বিক্রয় করতে। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষির ফলে এমন একটি দামে দ্রব্যটি ক্রয়-বিক্রয় হয় যেখানে চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান। যে দামে দ্রব্যটির চাহিদা ও যোগান সমান হয় তাকে ভারসাম্য দাম বলে। ভারসাম্য দামে যে পরিমাণ দ্রব্য কেনা-বেচা হয় তাকে ভারসাম্য পরিমাণ বলে।
Ø
মানুষের
অভাব পূরণের ক্ষমতাকে বলা হয়- উপযোগ।
Ø
দ্রব্যসামগ্রি
ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা গ্রহণ করি- উপযোগ।
Ø
খাদ্য,
বস্ত্র, বইপত্র, সেবা প্রভৃতি- মানুষের অভাব মেটায়।
Ø
কোনো
দ্রব্যের উপযোগ নিঃশেষ করাকে বলে- ভোগ।
Ø
যে
ব্যক্তি ভোগ করে তাকে- ভোক্তা বলে।
Ø
কোনো
নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দ্রব্যের বিভিন্ন একক হতে প্রাপ্ত তৃপ্তির সমষ্টিকে বলে- মোট
উপযোগ।
Ø
ভোগের
পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে মোট উপযোগ- ক্রমহ্রাসমান হারে বাড়ে।
Ø
অতিরিক্ত
একক ভোগের জন্য যে অতিরিক্ত উপযোগ পাওয়া যায় তাকে- প্রান্তিক উপযোগ বলে।
Ø
প্রান্তিক
উপযোগ শূন্য হলে, মোট
উপযোগ- সর্বাধিক হয়।
Ø
ভোগের
একক বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে উপযোগ কমে যাবার প্রবণতাকে- ক্রমহ্রাসমান
প্রান্তিক উপযোগ বিধি বলে।
Ø
ক্রমহ্রাসমান
প্রান্তিক উপযোগ বিধির অনুষ্ঠিত শর্ত হলো- ৫টি।
Ø
প্রান্তিক
উপযোগ ঋণাত্মক হলে, মোট
উপযোগ- কমে।
Ø
ক্রমহ্রাসমান
প্রান্তিক উপযোগ রেখাটি- বাম থেকে ডানে নিম্নগামী হয়।
Ø
MU-এর পূর্ণরূপ- Marginal Utility.
Ø
MU রেখার মাধ্যমে অর্থনীতিতে নির্দেশ করে- উপযোগ।
Ø
কোনো
নির্দিষ্ট সময়ে কোনো পণ্য কেনার আকাক্সক্ষা, সামর্থ্য ও নির্দিষ্ট মূল্যে পণ্যটি ক্রয় করার
ইচ্ছাকে বলে- চাহিদা।
Ø
অর্থনীতিতে
চাহিদা হবার অনুমিত শর্ত- ৩টি।
Ø
চাহিদার
সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে- দামের।
Ø
চাহিদা
রেখা- বাম থেকে ডানে নিম্নগামী হয়।
Ø
চাহিদা
সূচির জ্যামিতিক উপস্থাপনকে বলে- চাহিদা রেখা।
Ø
বিক্রেতা
বিভিন্ন দামে দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তাকে বলে- যোগান।
Ø
দাম
ও যোগানের সম্পর্ক- সমমুখী।
Ø
কোনো
দ্রব্যের চাহিদা হতে যদি যোগান বেশি হয় তবে- দাম কমবে।
Ø
যোগান
বিধি কার্যকর হয়- অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত
থাকলে।
Ø
যোগান
সূচির জ্যামিতিক উপস্থাপনকে বলে- যোগান রেখা
Ø
ভারসাম্য
দাম হলো- যে দামে চাহিদা ও যোগান সমান।
Ø
বাজার
ভারসাম্যের শর্ত হলো- চাহিদা যোগান।
Ø
দ্রব্য
বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রেতার বৈশিষ্ট্য-
সর্বোচ্চ দামে পণ্য
বিক্রয় করা।
Ø
দ্রব্যের
দাম নিয়ে দরকষাকষি হয়- ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।
Ø
ক্রেতা-বিক্রেতার
মধ্যে দ্রব্য নিয়ে দরকষাকষি হয় দ্রব্যের- বাজারে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন
1) উপযোগ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে
উপযোগ বলে।
2) ভোগ কাকে বলে?
উত্তর: মানুষের অভাব পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগ
নিঃশেষ করাকে ভোগ বলে।
3) মোট উপযোগ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি দ্রব্যের বিভিন্ন
একক থেকে প্রাপ্ত উপযোগের সমষ্টিকে মোট উপযোগ বলে।
4) প্রান্তিক উপযোগ কাকে বলে?
উত্তর: অতিরিক্ত এক একক ভোগের জন্য যে অতিরিক্ত উপযোগ
সৃষ্টি হয় তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলে।
5) বাজার চাহিদা কী?
উত্তর: বাজারে সব ভোক্তার ব্যক্তিগত চাহিদার সমষ্টিই
হলো বাজার চাহিদা।
6) ভোক্তা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো অবাধ সহজলভ্য দ্রব্য ছাড়া অন্যসব দ্রব্য
ভোগ করার জন্য যে ব্যক্তি অর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত থাকে, তাকে ভোক্তা বলে।
7) দ্রব্যের দাম ও যোগানের মধ্যে কেমন সম্পর্ক বিদ্যমান?
উত্তর: দ্রব্যের দাম ও যোগানের মধ্যে সমমুখী সম্পর্ক
বিদ্যমান।
8) অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে কয়টি শর্ত পূরণ করতে হয়?
উত্তর: অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে তিনটি শর্ত পূরণ
করতে হয়।
9) দাম বৃদ্ধি পেলে যোগানের পরিমাণ কেমন হয়?
উত্তর: দাম বৃদ্ধি পেলে যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
10) যোগান রেখা কাকে বলে?
উত্তর: দাম পরিবর্তনের ফলে যোগানের পরিমাণের সমমুখী
পরিবর্তনকে যখন রেখাচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয় তখন তাকে যোগান রেখা বলে।
11) একই রকম দ্রব্য বারবার ভোগ করতে থাকলে প্রান্তিক উপযোগ কী হয়?
উত্তর: একই রকম দ্রব্য বারবার ভোগ করতে থাকলে
প্রান্তিক উপযোগ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।
12) ভারসাম্য দাম কাকে বলে?
উত্তর: যে দামে চাহিদা ও যোগান সমান হয় তাকে ভারসাম্য
দাম বলে।
13) ভারসাম্য পরিমাণ কাকে বলে?
উত্তর: ভারসাম্য দামে যে পরিমাণ দ্রব্য কেনাবেচা হয়
তাকে ভারসাম্য পরিমাণ বলে।
14) ভোগের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে মোট উপযোগ কী হয়?
উত্তর: ভোগের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে মোট উপযোগ
ক্রমহ্রাসমান হারে বাড়ে।
15) ব্যক্তিগত যোগান কাকে বলে?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে একজন বিক্রেতা বিভিন্ন
দামে একটি দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ দ্রব্য যোগান দেয় তাকে ব্যক্তিগত যোগান বলে।
16) বাজার যোগান সূচি কী?
উত্তর: দাম পরিবর্তনের ফলে যোগানের সমমুখী পরিবর্তনকে
যে সূচিতে দেখানো হয় তাকে বাজার যোগান সূচি বলে।
17) বাজার চাহিদা রেখা কাকে বলে?
উত্তর: বাজারে কোনো দ্রব্য বিভিন্ন দামে বিভিন্ন
ব্যক্তি যে পরিমাণ ক্রয় করতে ইচ্ছুক বা প্রস্তুত থাকে তা যে চাহিদা রেখার সাহায্যে
দেখানো যায় তাকে বাজার চাহিদা রেখা বলে।
18) উপযোগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সাধারণ অর্থে উপযোগ বলতে দ্রব্যের উপকারিতাকে
বোঝানো হয়। কিন্তু অর্থনীতিতে এটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। অতএব, অর্থনীতিতে উপযোগ বলতে কোনো
দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে বোঝানো হয়।
19) অর্থনীতির পরিভাষায় যোগান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থনীতিতে যোগান বলতে একজন বিক্রেতা কোনো
একটি দ্রব্যের যে পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং একটি নির্দিষ্ট দামে সরবরাহ করতে
ইচ্ছুক ও সমর্থ থাকে তাকে যোগান বলে।
20) চাহিদা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: একজন ভিক্ষুকের গাড়ি
কেনা কিংবা কৃপণ ব্যক্তির রসগোল্লা খাওয়ার শখ চাহিদা হবে না। কারণ, ভিক্ষুকের গাড়ি কেনার সামর্থ্য
নেই এবং কৃপণ ব্যক্তির কেনার জন্য অর্থ ব্যয়ের ইচ্ছা নেই। অর্থনীতিতে চাহিদা হতে
হলে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন: ১. কোনো দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা বা আকাক্সক্ষা,
২. ক্রয়ের
জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য এবং ৩. অর্থ ব্যয় করে দ্রব্যটি
ক্রয়ের ইচ্ছা। সুতরাং, ক্রেতার
একটি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে কেনার আকাক্সক্ষা, সামর্থ্য এবং নির্দিষ্ট মূল্যে দ্রব্যটি ক্রয় করার
ইচ্ছা থাকলে তাকে অর্থনীতিতে চাহিদা বলে।
21) অর্থনীতিতে ভোগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অর্থনীতিতে মানুষের অভাব
পূরণের জন্য কোনো দ্রব্যের উপযোগ নিঃশেষ করাকে ভোগ বলা হয়। আমরা
কোনো জিনিস ধ্বংস বা নিঃশেষ করতে পারি না। আমরা শুধু দ্রব্যগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে
এর উপযোগ গ্রহণ করতে পারি। প্রতিদিন আমরা ভাত, মাছ, কলম,
ঘড়ি, জামা-কাপড় ব্যবহার করি বা ভোগ
করি। এখানে ভোগ বলতে কিন্তু এগুলোর নিঃশেষ করাকে বোঝায় না,
এগুলোর উপযোগ নিঃশেষ
করাকে বোঝায়।
22) মোট উপযোগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি দ্রব্যের বিভিন্ন
একক থেকে প্রাপ্ত উপযোগের সমষ্টিকে মোট উপযোগ বলে। যেমন: আম কিনতে গিয়ে ১ম আম ১০
টাকায়, ২য় আম ৮ টাকায় এবং ৩য় আম
৬ টাকায় কিনতে ভোক্তা রাজি আছে। এখানে ১০, ৮ ও ৬
হচ্ছে ১ম, ২য় ও ৩য় আমের উপযোগ। সুতরাং এখানে
আমের মোট উপযোগ হলো (১০+৮+৬)=২৪ টাকা।
23) ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভোক্তা কোনো একটি দ্রব্য যত বেশি ভোগ করে তার
কাছে ঐ দ্রব্যের প্রান্তিক উপযোগ তত কমে যেতে থাকে। ভোগের একক বৃদ্ধির ফলে উপযোগ
কমে যাওয়ার এ প্রবণতাকে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি বলে। অর্থাৎ
ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধির মূল কথা হলো কোনো জিনিস বা দ্রব্যের প্রতি
ভোক্তার উপযোগ কমে আসার ধারাবাহিক প্রবণতা।
24) প্রান্তিক উপযোগ বলতে কী বোঝা?
উত্তর: অতিরিক্ত এক একক ভোগের জন্য যে অতিরিক্ত উপযোগ
সৃষ্টি হয় তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলা হয়। যেমন : আম কিনতে গিয়ে ১ম আম ১০ টাকায়,
২য় আম ৮ টাকায় এবং ৩য় আম
৬ টাকায় কিনতে একজন ভোক্তা রাজি আছে। এখানে ১০, ৮ ও ৬ হচ্ছে ১ম, ২য় ও ৩য় আমের উপযোগ এবং ৩য় আম বা ৬ টাকা হলো
প্রান্তিক উপযোগ।
25) ভারসাম্য দাম ও ভারসাম্য পরিমাণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতা একটি দ্রব্যের দাম নিয়ে দর কষাকষি
করে। ক্রেতা দ্রব্যটি সর্বনিম্ন দামে ক্রয় করতে চেষ্টা করে এবং বিক্রেতা সর্বোচ্চ
দামে দ্রব্যটি বিক্রয় করতে চেষ্টা করে। ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষির ফলে এমন একটি
দামে দ্রব্যটি ক্রয়-বিক্রয় হয় যেখানে তার চাহিদা ও যোগান সমান হয়। যে দামে চাহিদা
ও যোগান সমান হয় তাকে ভারসাম্য দাম বলে। আবার ভারসাম্য দামে যে পরিমাণ পণ্য
কেনাবেচা হয় তাকে ভারসাম্য পরিমাণ বলে।