নতুন দেশ কবিতার মূলভাব
এই কবিতায়
একটি ছোট ছেলে বা মেয়ের মনের কথা বলা হয়েছে, যে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দূরের অজানাকে দেখার জন্য উৎসুক। ছেলেটি বা মেয়েটি
কল্পনা করছে যে নদীর অন্য পাড়ে বুঝি নতুন কোনো দেশ আছে।
সে দেখছে, যখন তাদের নৌকা ঘাটে বাঁধা থাকে, তখন দূরের তীরে সবকিছু আবছা আর রহস্যময় মনে হয়। মনে হয় যেন
সেখানে অন্যরকম মানুষ থাকে, অন্যরকম জীবন চলে।
ছেলেটি বা
মেয়েটি ভাবে, যখন তারা রাতের বেলা ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তাদের বাঁধা নৌকাটি হয়তো স্রোতের টানে ভেসে যেতে পারে
সেই নতুন দেশের দিকে। ভোরের আলোয় জেগে উঠে তারা দেখবে, তারা এক নতুন দ্বীপে বা নতুন কোনো তীরে এসে পৌঁছেছে।
সেখানে তারা
দেখবে নতুন নতুন গাছপালা, নতুন ধরনের ফুল, আর হয়তো দেখবে অচেনা সব মানুষ। তাদের মনে সেই নতুন দেশকে
দেখার,
জানার এবং সেখানকার অভিজ্ঞতা লাভ করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
আসলে, এই কবিতার মূল কথা হলো অজানার প্রতি মানুষের চিরন্তন কৌতূহল এবং নতুন কিছু দেখার ও
জানার স্বপ্ন। ছোট ছেলেমেয়েদের মনে যেমন অসীম কল্পনা থাকে, তেমনি তাদের মধ্যে নতুনত্বের প্রতি একটা টানও থাকে। এই কবিতায় সেই নিষ্পাপ কৌতূহল এবং সুন্দর কল্পনার জগৎকেই
তুলে ধরা হয়েছে। নদী যেন পরিচিত জগৎ আর তার অন্য পাড় যেন সেই রহস্যময়, নতুন দেশ – যা শিশুরা তাদের মনের মধ্যে তৈরি করে নেয়।